বাজারে মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তেল-গত কয়েক দিনে মানুষের মুখে মুখে শোনা গেছে এই খবরটি। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, হাতিরপুল বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন খবর পাওয়া যায়। এ ছাড়া দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও ‘তেল নেই’ এমন খবর পাওয়া যায়।
এই সংকটের মধ্যেই সোমবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়ানো হয়। এই খবরে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে দেখে মেলে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। অথচ গত কয়েকদিনে সয়াবিন তেল পাওয়াই যাচ্ছিল না।
সোমবার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীনের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ার পর এক ঘণ্টাও অতিবাহিত হয়নি। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে দেখে গেছে বোতলজাত সয়াবিন তেল। মার্কেটে মার্কেটে ছড়িয়ে পড়েছে বোতলজাত ফ্রেশ-তীর-পুষ্টির সয়াবিন তেলের বোতল।
দাম বাড়ানোর পর ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানিরগুলোর সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার বলেন, কয়েকদিন থেকে আমারা কিভাবে সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করেছি। বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ ডলারে উঠেছে।
তিনি যুক্তি তুলে ধরে আরও বলেন, গত এপ্রিলে সরকার যখন তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল তখন বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ছিল ১০৩৫ ডলার। এখন আমরা ১ হাজার ১০০ ডলার ধরে লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বশির উদ্দীন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে তেলের ঘাটতি রয়েছে, এ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, ভোক্তারাও অস্বস্তিতে রয়েছেন। সেজন্য আমরা তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছি। নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি বাজারে আর তেলের ঘাটতি হবে না।
তিনি বলেন, গত এপ্রিলে ১৬৭ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল। এরপর এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে দাম অনেকটাই বেড়েছে। যে কারণে দেশে স্থানীয় মজুতদারি বেড়েছে। তেলের পযাপ্ত মজুত রয়েছে। অনেকে কিনে মজুত করেছে। ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা সেটা মনিটরিং করছি। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে এখন একটি যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর সমস্যা হবে না।